স্ত্রীর সাথে ছাদে ব‍্যাডমিন্টন খেলার সময় ছাদ থেকে পড়ে মৃত‍্যু শিক্ষক স্বামীর , শোক বিষ্ণুপুরে

10th April 2020 বাঁকুড়া
স্ত্রীর সাথে ছাদে ব‍্যাডমিন্টন খেলার সময় ছাদ থেকে পড়ে মৃত‍্যু শিক্ষক স্বামীর , শোক বিষ্ণুপুরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  স্ত্রীর সাথে ছাদে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত্রিবেলায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শালবাগান এলাকায়। লকডাউন এর জেরে বাড়িতেই বন্দি রয়েছে মানুষজন। সারাদিন গৃহবন্দী থেকে বাড়ির ছাদে গিয়ে প্রতিদিনের মতো স্ত্রীর সাথে ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছিলেন পেশায় প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দে (৬১)। খেলতে খেলতেই জুতো স্লিপ করে একতলা ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান দুলাল বাবু।  গুরুতর জখম দুলাল বাবুকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। চোট গুরুতর থাকায় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পথে মৃত্যু হয় স্কুলের প্রাক্তন খেলার শিক্ষক দুলাল বাবুর। পরিবার ও স্থানীয় মানুষের কথায় খেলাধুলো খুব ভালোবাসতেন দুলাল বাবু।  প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির বাইরে ব্যাডমিন্টন খেলতেন দুলাল বাবু। বিষ্ণুপুরের কুষদীপ হাইস্কুলের খেলার শিক্ষক ছিলেন তিনি। ১ বছর আগে অবসর নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে একটি স্কুলে খেলার গেস টিচার হিসেবে কর্মরত ছিলেন । লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বাড়ির বাইরে পা রাখেন নি তিনি।  লকডাউন চলাকালীন বেশ কদিন ধরেই স্ত্রী কাঞ্চন দে সাথে  বাড়ির ছাদে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন তিনি। গতকাল রাতেই ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।  এই ঘটনার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ভিডিও লিঙ্ক 

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=709894773112869&id=219524035483281





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।